IND বনাম PAK, এশিয়া কাপ ২০২৩
২০২২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের পরে, ক্যান্ডিতে (Kandy) ২ রা সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ ২০২৩ (Asia Cup 2023) -এ ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচটি খুব রোমাঞ্চিত হতে চলেছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়কে গ্রুপ A তে রাখা হয়েছে এবং অভিষেককারী নেপাল হল তৃতীয় দল। পাকিস্তান হল ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের প্রথম আয়োজক। কিন্তু বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানায়, তাই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে মহাদেশীয় শোপিস আয়োজন করবে।যে কোন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচগুলি ক্রিকেট ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান রাখে এবং ক্রিকেটের এল ক্লাসিকো হিসাবেও বিবেচিত হয়। একবার দেখে নেওয়া যাক যে ভারত পাকিস্তানের থেকে কোথায় এগিয়ে আছে –
হেড-টু-হেড রেকর্ড
এশিয়া কাপে, ভারত ওডিআইতে (ODI) পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭-৫ জয়-পরাজয়ের অনুপাত উপভোগ করে। ১৯৯৭ সালের সংস্করণে একটি মাত্র ম্যাচ কোন ফলাফলে শেষ হয়নি। ভারত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনবার ৩০০ রানের সীমা লঙ্ঘন করেছে, দুবার জিতেছে এবং একবার হেরেছে।
পাল্লেকেলেতে ভারতের রেকর্ড
পাল্লেকেলে (Pallekele) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, ভারত তিনবার খেলেছে এবং সেখানে সবকটি গেমই জিতেছে। এই তিনটি ম্যাচই ছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে।
পাল্লেকেলেতে পাকিস্তানের রেকর্ড
অন্যদিকে পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান খেলেছিল পাঁচটি ম্যাচ কিন্তু দুবার জিতেছিল এবং তিনটিতে হেরেছিল। পাকিস্তান এই ভেন্যুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনবার খেলার পর মাত্র একবার জিতেছে। বাকি দুটি খেলায়, তারা নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছিল।
বিরাট কোহলির ফ্যাক্টর
পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলি (Virat Kohli)-র খেলার রেকর্ড সবসময়ই ভালো ছিল। মোট ১৩ টি ম্যাচে বিরাট কোহলি ৫৩৬ রান করেছেন যার মধ্যে দুটি সেঞ্চুরিও রয়েছে। এশিয়া কাপে, কোহলি তিনবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় এবং ২০১২ সালে তার ক্যারিয়ারের সেরা ১৮৩ রান সহ ২০০-এর বেশি রান করেন। তবে, পাল্লেকেলে বিরাট কোহলির রেকর্ড খুব একটা ভালো নয় কারণ তিনি তিনটি ম্যাচে মাত্র ৩০ রান করেছিলেন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক গত বছরে অমিনুস ফর্মে ছিলেন এবং ওয়ানডেতে তিনি তিনটি, টেস্টে দুটি এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন।
কেএল এবং শ্রেয়াস আইয়ারের প্রত্যাবর্তন
কেএল রাহুল (KL Rahul) এবং শ্রেয়াস আইয়ার (Shreyas Iyer) – এর প্রত্যাবর্তন ভারতীয় দলের জন্য একটি খুব বড় আশীর্বাদ, বিশেষ করে মিডল অর্ডারে। আড়ম্বরপূর্ণ ডান-হাতের ব্যাটসম্যানরা নিজ নিজ ইনজুরির কারণে বেশ ভালো সময়ের জন্য খেলার বাইরে ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তীব্র সমালোচনার মুখে থাকা ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের ভারসাম্য রক্ষায় তারা বড় ভূমিকা পালন করবেন। পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) এর ফিরে আসা বোলিংয়েও ভারতের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
যদিও পাকিস্তানের গর্ব করা ম্যাচ জয়ের সংখ্যাকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না, কারণ শাহীন শাহ আফ্রিদি (Shaheen Shah Afridi) এবং ইমাম-উল-হক (Imam-ul-Haq) সম্প্রতি শেষ হওয়া আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলায় তাদের 3-0 তে হোয়াইটওয়াশের সময় একমাত্র ইতিবাচক ছিলেন।