গণেশ চতুর্থী । Ganesh Chaturthi

গণেশ চতুর্থী

শারোদ উৎসবের বাকি আর মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময়। বাঙালির মন জুড়ে লেগেছে পুজোর নেশা। পঞ্জিকা অনুসারে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষে গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi) পালিত হয়। বেদিতে লাল কাপড় বিছিয়ে স্থাপন করা হয় গণেশের মূর্তি। পূর্ব দিকে মুখ করে সাধারণত বাঙালি বাড়িতে এই গণেশ পুজো হয়ে থাকে।

Ganesh Chaturthi

সেপ্টেম্বরেই উঠতে চলেছে ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’ ধ্বনি। কারণ চলতি মাসেই হতে চলেছে গণেশ পুজো। গণেশ চতুর্থীকে ঘিরে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি উৎসবের রঙে সাজবে বাংলাও। বাংলার একাধিক জায়গায় এই গণেশ পুজো আয়োজিত হয়।

গণেশ চতুর্থী মহারাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ একটি উৎসব। কিন্তু গ্লোবালাইজেশনের দৌলতে উৎসব প্রিয় বাঙালির উৎসব উদযাপনের তালিকায় প্রায় পাকাপাকিভাবে স্থান করে নিয়েছেন মা দুর্গার কনিষ্ঠ পুত্র গণেশ। এখন কুমোরটুলিতে তাই দুর্গামূর্তির স্থান হয়েছে পিছনের সারিতে। সামনের সারিতে বিনায়কের উপস্থিতি বেশ নজরে পড়ার মতোই।

গণেশ চতুর্থীর শুভ সময়

গণেশ চতুর্থীর পুজোর শুভ সময় শুরু হচ্ছে, মঙ্গলবার ১৯ শে সেপ্টেম্বর বেলা ১১.০১ মিনিট থেকে দুপুর ১.২৮ মিনিট পর্যন্ত। আর উৎসব শেষ হচ্ছে, অর্থাৎ বিসর্জনের অনন্ত চতুর্দশী পড়ছে ২৮ সেপ্টেম্বর। ভাদ্রপদ শুক্ল চতুর্থী তিথি শুরু হচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২.৩৯ মিনিট থেকে। ভাদ্রপদ শুক্ল চতুর্থী তিথি শেষ হচ্ছে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১.৪৩ মিনিটে।

গণেশ চতুর্থীর প্রয়োজনীয় সামগ্রী

গণেশ পুজোতে হলুদ, চন্দন, সিঁদুর, দূর্বা ঘাস এর মালা দিয়ে পূজা করা হয়। তবে এই পূজায় আলাদা করে প্রয়োজন হয় লাড্ডু ও মোদকের। ১০ দিন ধরে চলে এই পুজো।

অন্যদিকে কুমোরটুলির শিল্পীরা বলছেন, এই সময় প্রতিমা শিল্পীদের উপর এমনিতেই দুর্গাপুজোর চাপ থাকে। তার উপর গত ৫-৭ বছর ধরে বাঙালির গণেশ পুজোর হিড়িক বেড়েছে। ফলে উপরি আয় হলেও পরিশ্রম এবং কাজের চাপে ঘুম ছুটেছে কুমোর পাড়ার।

কথিত আছে যে, সমস্ত শুভ কাজের শুরু হয় শ্রী গনেশের নাম নিয়ে। আর তাই সমস্ত কাজের সফলতাও আসে। গণেশ পূজা বাদ দিয়ে কোন পূজাই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। দেবতাদের মধ্যে তাকেই প্রথম পুজ্য বলে গণ্য করা হয়। এছাড়া গণেশের প্রায় ১০৮ টি নাম আছে, এর মধ্যে গজানন, গণপতি, বিনায়ক এবং বিঘ্নরাজ, এই নামগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার পাশাপাশি গণেশ হলেন সমৃদ্ধির প্রতীক, তাই তার আরেক নাম হলো সিদ্ধিদাতা গণেশ।

আমাদের বাংলায় যেমন দুর্গাপূজা বেশ কিছুদিন ধরে ধুমধাম ভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং চারিদিকে জাঁকজমক পূর্ণ পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়, তেমনি কিন্তু মুম্বাইতে এই গণেশ চতুর্থী অর্থাৎ গনেশ পূজা দশ দিন ব্যাপী এতটাই ধুমধাম ভাবে অনুষ্ঠিত হয় যে, সেটা আমাদের বাংলায় দুর্গাপুজোর সাথে তুলনা করা যেতেই পারে। কত বড় বড় গণেশের মূর্তি এবং বড় বড় মণ্ডপে পূজা, সমস্তই মহারাষ্ট্র অথবা মুম্বাইবাসী ভীষণভাবে উপভোগ করেন।

Leave a Comment