কেকে-এর জীবনী |KK’s Biography

কেকে-এর জীবনী: 

কেকে (KK) ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ভারতের দিল্লিতে ২৩-০৮-১৯৬৮ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ভারতীয় গায়ক, প্লেব্যাক গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং সুরকার যিনি হিন্দি, কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালম, গুজরাটি, অসমীয়া, বাংলা এবং মারাঠি সহ অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন।

KK's Biography

  • পুরো নাম – কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ
  • ডাক নাম – কেকে
  • জন্ম – ২৩ আগস্ট ১৯৬৮
  • জন্মস্থান – দিল্লি, ভারত
  • বাবার নাম- সি এস নায়ার
  • মায়ের নাম- কুন্নাথ কনকভল্লি
  • স্ত্রী- জ্যোতি লক্সমী কৃষ্ণ( পেশাদার চিত্রশিল্পী)
  • পুত্র – নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথ (নায়ক সুরকার সংগীত প্রযোজক)
  • কন্যা- তমরা কুন্নাথ (গায়ীকা, সংগীত সুরকার, সংগীত প্রযোজক)
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ব্যাচেলর অফ কমার্স ব্যাচেলর অফ কমার্স
  • কাজের পেশা – অপ্রতুল গায়ক, সুরকার, গীতিকার প্লেব্যাক গায়ক, সুরকার, গীতিকার
  • শখ / আগ্রহ – যোগব্যায়াম করা, হাঁটা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শোনা যোগ করা, হাঁটা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শোনা

কর্মজীবন:

দিল্লির কিরোরি মাল কলেজ থেকে হওয়ার পর, হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কেকে প্রায় আট মাস স্বল্প মেয়াদে কাজ ছিলেন। তারপর চাকরি ছেড়ে মুম্বাইয়ে চলে যান তিনি। এ.আর. রেহমান তাকে গায়ক হিসেবে প্রথম সবার সামনে নিয়ে আসেন। ১৯৯৬ সালে তামিল ছবি কাদাল দেশম-এর “কলেজ স্টাইল” গানের মাধ্যমে তিনি তার গানে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৯৯ সালে “হাম দিল দে চুকে সানাম” ছবির আইকনিক গান তদাপ তদাপ ইস দিল সে (Tadap Tadap Is Dil Se)-এর মাধ্যমে KK-এর বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয়।

সনি মিউজিক ১৯৯৯ সালে KK এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং তার প্রথম অ্যালবাম “পাল(Pal)” প্রকাশ করে। KK তার বহুমুখী গানের দক্ষতার জন্য বিখ্যাত হয়েছেন এবং তার হাই পিচ কণ্ঠস্বর ও তার গানের দক্ষতা গানের জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

কেকে-এর ভূমিকা:

কৃষ্ণ কুমান ওরফে কেকে ২৩ আগস্ট ১৯৬৮ সালে কেরালায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সি এস নায়ার এবং মাতার নাম কনকভল্লী। হিন্দি সিনেমায় এন্ট্রি নেওয়ার আগেও কেকে বিজ্ঞাপন জিঙ্গেল করেছিলেন। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে সমর্থন করার জন্য তিনি ‘জোশ অফ ইন্ডিয়া‘ গানটি গেয়েছিলেন। এর পরে তিনি পাল নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন যা সেরা একক অ্যালবামের জন্য স্টার স্ক্রিন পুরস্কার জিতেছিলেন। এই অ্যালবামের দুটি গান ‘পাল(Pal)’ ও ‘ইয়ারো(ইয়ারো)’ বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।

কেকে-এর বিবাহ জীবন:

১৯৯১ সালে, তিনি তার বাল্যবন্ধু জ্যোতিকে বিয়ে করেন। কেকে খুবই দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিলেন। সময় পেলেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেন। একটি সাক্ষাত্কারে কেকে বলেছিলেন, “আমার পরিবারই আমার শক্তি, এটি আমাকে প্রতিটি খারাপ জিনিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়”। তার একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। তার ছেলে নকুল যিনি ‘হামসাফর‘ অ্যালবামে ‘মস্তি‘ গান গেয়েছেন। কেকে তমরা নামে একটি মেয়েও রয়েছে।

কেকে-এর টিভি ক্যারিয়ার:

১৯৯৯ সালে যখন সনি মিউজিক চালু হয়েছিল, তখন তারা একটি নতুন গায়ককে লঞ্চ করতে চেয়েছিল। সেই সময়ে তিনি পালানাম নামে একটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন, যার সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন লেসলি লুইস(Leslie Lewis)। তার দ্বিতীয় অ্যালবাম হামসফর ২৪ জানুয়ারী ২০০৮ এ প্রকাশিত হয়। কেকে সিনগিং বেসড সোফামে গুরুকুল-এ বিচারকও ছিলেন। যদিও এরপর তাকে আর কোনো ছোট শোতে দেখা যায়নি।

কেকে-এর এর বিখ্যাত গান:

  • “ছোড় আয়ে হাম”
  • “কলেজ কে সাথী”
  • “ঝুট মুঠি”
  • “কাইপচে””
  • “তরাপ তরাপ”
  • “কোই তো মুঝে বাতা দে “
  • “ইয়ারো”
  • “হালে হালে”
  • “জব ভি কোই হাসিনা”
  • “জো ডার গেয়া ও মার গেয়া”
  • “হাম দিওয়ানে”
  • “কোই কাহে কেহতা রাহে”
  • “সাচ কে রাহা হ্যায়”
  • “তেরে লিয়ে”
  • “জি লেঙ্গে”
  • “ডোলা রে ডোলা”
  • “মার ডালা”
  • “সাজদে”
  • “দিলনাশিন দিলনাশিন”
  • “তু জো মিলা”
  • “জারা সা”
  • “মেরি মা”
  • “খুদা জানে”
  • “চলে যেইসে হাওয়ায়ে”
  • “ও জানা”
  • “গোরি গোরি”
  • “কেয়া মুঝে পেয়ার হ্যায়”
  • “লাবো কো”
  • “দিল ইবাদত”
  • “আঁখোঁ মে তেরি”
  • “ইন্ডিয়া ওয়ালে”

এইখানেই শেষ না। আরো অনেক গান গেয়ে আমাদের মুগ্ধ করেছেন। এইখানেই শেষ না। আরো অনেক গান গেয়ে আমাদের মুগ্ধ করেছেন। তার এই অফুরন্ত গানের জন্য কেকে সবার কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন এবং সবার মনে জায়গা করে নিনিয়েছেন।

পুরস্কার:

  • ২০০৩ সালে “ঝংকার বিটস” চলচ্চিত্রের “তু আশিকি হ্যায়” এর জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
  • গোল্ডি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস, ২০১২ সালে “(রোলে! ক্যামেরা অ্যাকশন)” ছবির “চালতে জানা হ্যায়” গানের জন্য সেরা প্লেব্যাক গায়ক পুরুষের জন্য পেয়েছিলেন।
  • ২০০৫ সালে সেরা প্লেব্যাক গায়ক পুরুষের জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন।
  • ২০১২ সালে ঈনাম-স্বরালয়া গায়ক অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

কেকে সম্পর্কিত কিছু আকর্ষণীয় তথ্য:

  • তিনি তার স্ত্রীকে ৩৭ বছর ধরে চিনতেন এবং দুজনেই শৈশবের বন্ধু ছিলেন।
  • তার ছেলে নকুল এবং মেয়ে তমার সঙ্গীতের প্রতি ঝোঁক রয়েছে। যার কারণে তার ছেলে হামসফর (২০০৮) অ্যালবামের ‘মাস্তি‘ গানে র‌্যাপ গেয়েছেন।
  • কেকে কখনই সংগীতের জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেননি।
  • চার বছরের ব্যবধানে, তিনি ১১টি ভারতীয় ভাষায় ৩,৫০০টিরও বেশি জিঙ্গেল গেয়েছেন।
  • অরিজিৎ সিং, অঙ্কিত তিওয়ারি, প্রীতম, আরমান মালিকের মতো অনেক বড় গায়ক সঙ্গীতজ্ঞ তার কণ্ঠ এবং সঙ্গীতের জ্ঞানের প্রশংসা করেছেন।
  • ২০১৩ সালে, কেকে একটি আন্তর্জাতিক অ্যালবামের জন্য একটি গান গেয়েছিলেন, ‘রাইজ আপ-কালারস অফ পিস‘, যেটি তুর্কি কবি ফতুল্লা গুলেন লিখেছেন।
  • কেকে পাকিস্তানি টিভি শো ‘দ্য ঘোস্ট‘-এর জন্য ‘তানহা চালা‘ নামে একটি গান গেয়েছেন, যা ২০০৮ সালে ‘হাম টিভি’-তে প্রচারিত হয়েছিল।
  • কেকে অনেক টেলিভিশন সিরিয়ালের জন্যও গেয়েছেন, যেমন- মহব্বত, কুছ ঝুকি সি পালাকেন, হিপ-হিপ হুররে, কাব্যঞ্জলি জাস্ট ড্যান্স ইত্যাদি।
  • কেকে হিন্দিতে ৫০০টিরও বেশি গান এবং তেলেগু, বাংলা, তামিল, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষায় ২০০টিরও বেশি গান গেয়েছেন।
  • ২০০৪ সালে, তিনি ঝংকার বিটসে তু আশিকি হ্যায়-এর জন্য জাতীয় পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক-মেইন (নন-ফিল্ম মিউজিক) পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

কেকের মৃত্যু:

দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চতে ৩১মে ২০২২ একটি লাইভ পারফরমেন্স করেন তিনি। এই অনুষ্ঠান চলাকালীনই তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কলকাতা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মাত্র দুদিনের জন্য তিনি কলকাতায় এসে তিনি আর ফায়ার যাননি তার পরিবারের কাছে। এই ভাবেই মাত্র 54 বছর বয়সে ভারতের এই প্রখ্যাত গায়কের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু কথা কলকাতা সহো গোটা সংগীত জগতে শোকের ছায়া ফেলেছিলো। এখনো এটা মানতে কষ্ট হয় যে তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই।

FAQ:

প্রশ্ন: কেকে কে ছিলেন?
উত্তর: কেকে হলেন একজন ভারতীয় প্লেব্যাক গায়ক। যিনি হিন্দি,তামিল,বাংলা,মারাঠি,কন্নড়,তেলেগু এছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন।

প্রশ্ন: কেকে এর পুরো নাম কি ?
উত্তর: কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ।

প্রশ্ন: কেকে এর জন্ম কোথায় ও কবে হয়েছিল?
উত্তর:  কেকে এর হোম টাউন হল দিল্লিতে ২৩ আগস্ট ১৯৬৮ সালে ।

প্রশ্ন: কেকে এর কর্মজীবন শুরু কবে?
Ans: কেকে এর কর্মজীবন ১৯৯৪ সালে শুরু হয় ।

প্রশ্ন: কেকে এর প্রথম গান কী ?
Ans: কেকে এর প্রথম গান “পাল” যা শ্রোতাদর খুবই পছন্দের গানের মধ্যে একটি ।

প্রশ্ন: কেকে কোথায় ও কবে মারা যায় ?
Ans: কেকে দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চতে ৩১মে ২০২২ সালে মারা যান ।

Leave a Comment