মেহজাবিন চৌধুরীর জীবনী । Mehazabien Chowdhury Biography

মেহজাবিন চৌধুরী

মেহজাবিন চৌধুরী (Mehazabien Chowdhury) বাংলাদেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং আলোচিত একটি নাম। তিনি বাংলাদেশের একজন মডেল ও অভিনেত্রী। রূপে, গুণে সম্পূর্ণ এই মেহজাবিন চৌধুরী। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের অন্যতম একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। মেহেজাবিনের মিডিয়া জগতে আসাটা অতটা সহজ ছিল না যতটা আমরা আজকের সফল মেহজাবিনকে দেখে মনে করি। তিনি ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ী হয়ে মিডিয়া জগতে আসেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন টিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন।

Mehazabien Chowdhury

মেহজাবিন চৌধুরীর জন্ম এবং শৈশব

মেহেজাবিন এর জন্ম ১৯ শে এপ্রিল ১৯৯১ সালে, জন্মস্থান চট্টগ্রাম বাংলাদেশ ও তার ধর্ম হল ইসলাম। তার বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরী একজন সরকারি কর্মচারী যিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরি করেন।

মেহজাবিন তার শৈশব পিতা-মাতার সঙ্গে দুবাইতে কাটিয়েছেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। মেহজাবীন শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং এর ছাত্রী ছিলেন। তবে অভিনয় ও মডেলিংয়ের প্রতি ভালোবাসার বশেই তিনি ফিরে এসেছিলেন নিজের দেশে। ২০০৭ সালে ১৬ বছর পরে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর মেহজাবিন শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাশন ডিজাইনিং এর ছাত্রী ছিলেন। পড়াশোনা করার সময় একটি প্রতিযোগীতায় তিনি ১০০০০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে লাক্স সুন্দরী নির্বাচিত হন।

মেহজাবিন চৌধুরী ক্যারিয়ার

মেহজাবিন চৌধুরী এমন একটি পরিবার থেকে মিডিয়া জগতে পা রেখেছিলেন যেখানে এর আগে কেউ মিডিয়া জগতে পা রাখেনি। মিডিয়া জগতকে সবাই খারাপ ভাবে তাই প্রথম দিকে তার পরিবার তাকে এই পথ থেকে সরে আসতে বলেছিল। সবকিছু উপেক্ষা করে মেহজাবিন চৌধুরী যখন লাক্স সুপারস্টার নির্বাচিত হলেন এর পরের গল্পটা প্রায় সবারই জানা। একের পর এক নাটক, বিজ্ঞাপনে কাজ করে দর্শকদের প্রিয় মুখ হন তিনি।

লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেহজাবিন অভিনীত প্রথম নাটক ছিল “তুমি থাকো সিন্ধু পাড়ে”। এই নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ (Mahfuz Ahmed)। তিনি এরপর “মাঝে মাঝে তব দেখা পাই”, “কল সেন্টার”, “মেয়ে শুধু তোমার জন্”’, “আজও ভালোবাসি মনে মনে”, “হাসো আন লিমিটেড সহ” বেশকিছু নাটকে কাজ করেন।

২০১৩ এ শিখর শাহনিয়াত পরিচালিত নাটক “অপেক্ষার ফটোগ্রাফি” ছিল মেহজাবীন এর জন্য খুব বড় একটি টার্নিং পয়েন্ট। ঈদুল আযহা ২০১৭-এ মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় “বড় ছেলে” তে অভিনয় করে তিনি আবারও শীর্ষে চলে আসেন। দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় মেহজাবীন ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব (Ziaul Faruq Apurba) অভিনীত এই নাটকটি।

গল্পকার মেহজাবিন চৌধুরী

২০২০ সালে মেহজাবিন চৌধুরী নাম লিখিয়েছেন গল্পকার হিসেবে। তার লেখা প্রথম নাটকের গল্প হল “থার্ড আই”। বর্তমানে শোনা গিয়েছিল মেহজাবিন চৌধুরী আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আদনান আল রাজীব (Adnan Al Rajeev) হলেন একজন বাংলাদেশী পরিচালক প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।

মেহজাবিন চৌধুরী অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন এবং মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক – এর জন্য একটি টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন। তার নাটক গুলো দর্শকের মন এমনই জয় করে নিয়েছিল যে দুদিন পরপরই তার একটি করে নাটক বের হতো। কদিন আগেই “মেরিল প্রথম আলো” পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

Leave a Comment