শাকিব আল হাসান-এর জীবনী । Shakib Al Hasan Biography

শাকিব আল হাসান:

আজকে যার কথা বলতে চলেছি তিনি হলেন বিশ্বের সেরা ক্রিকেট অল রাউন্ডার। তিনি হলেন একজন দুর্দান্ত বামহাতি ব্যাটসম্যান এবং বোলার। তিনি হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। ১০ বছর ধরে সেরা অল-রাউন্ডারের রেকর্ডের অধিকারী সাকিব এখনো একদিনের আন্তর্জাতিক ও টেস্ট ফরম্যাটে সর্বোচ্চ র‍্যাংকিং ধরে রেখেছেন। তো চলুন বন্ধুরা আজ তার জীবন সম্পর্কে কিছু অজানা বিষয় জানে নেওয়া যাক।

Shakib Al Hasan

সাকিব আল হাসানের পুরো নাম হল খন্দকার সাকিব আল হাসান। তার কিছু ডাক নামও আছে সেগুলি হল – সাকিব,ময়না,ফয়সাল। তিনি ১৯৮৭ সালের ২৪ শে মার্চ বাংলাদেশের মাগুরায় জন্মগ্রহণ করেন। সাকিব আল হাসানের বাবার নাম খন্দকার মাশরুর রেজা। যিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এবং তার মা হলেন শিরিন রেজা যিনি একজন গৃহিণী। ছোটবেলা থেকেই সাকিব খেলতে পছন্দ করতেন। তার বাবা খুলনা বিভাগের হয়ে এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলতেন। সাকিবের ক্রিকেট খুব অসাধারণ খেলতেন তাই তাকে গ্রাম-গ্রামান্তরে খেলার জন্য ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হত। সাকিব বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (BKSP)- এর একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

তিনি ২০০৩ সালে আরবের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম আন্ডার ১৭ ম্যাচে ৩ উইকেট নেন। ২০০৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম আন্ডার ১৯ ম্যাচে অভিষেক ঘটেছিল সাকিবের। আবার ২০০৫ সালেই তিনি আন্ডার নাইনটিন ত্রি-দেশীয় টুর্নামেন্টের (বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা) ফাইনালে মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে ও তিনটি উইকেট নিয়ে দলকে জিততে সহায়তা করেন। ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সাকিব আন্ডার নাইনটিন দলের হয়ে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন এবং মোট ৫৬৩ রান সংগ্রহ করেন এবং মোট ২২টি উইকেট নেন।

২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দলে শাকিব আল হাসানের অভিষেক হয়। এরপর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আয়োজিত ‘২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ’ এ হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন ১৫ জনের বাংলাদেশ স্কোয়াডে ডাক পান তিনি। সেই বছরই অর্থাৎ ১৮ ই মে ২০০৭ সালে তার টেস্টে অভিষেক হয়। এরপর তার দুর্ধর্ষ পারফর্মেন্সের জন্য ২২ শে জানুয়ারী, ২০০৯ সাকিব আইসিসি’র ওডিআই অল-রাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন।

জুন, ২০০৯ এর মাশরাফিকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়, সাকিবকে করা হয় সহ-অধিনায়ক। জুলাই মাসে বাংলাদেশ ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল। প্রথম টেস্টেই মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। খেলার শেষ দিনে তিনি মাঠে নামতেই পারেননি এবং তার জায়গায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব করেন সাকিব এবং দেশের বাইরে এই টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ী হয়। মাশরাফি আহত অবস্থার কারণে সাকিবকেই আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে অধিনায়ক পদে বহাল রাখা হয়েছিল। এরপর মাঝে কয়েকবার তিনি অধিনায়কের পদ থেকে সরে গেলেও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

সাকিব ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা কলকাতার নাইট রাইডার্স -এর হয়ে খেলেছেন, মাঝে একবার তিনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলেছিলেন, এরপর আবার ২০২১ সালে সাকিব কলকাতার হয়ে খেলেন। আইপিএল-২০২৩ এর নিলামে সাকিবকে দেড় কোটি রুপিতে দলে টেনেছিল বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

২০১২ সালের ১২ শে ডিসেম্বর সাকিব যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরকে বিবাহ করেন। বর্তমানে তিনি দুইটি কন্যা সন্তান এবং একটি পুত্র সন্তানের বাবা। তার বড় মেয়ের নাম আলাইনা হাসান অব্রি এবং ছোট মেয়ের নাম ইররাম হাসান এবং ছেলের নাম ইজাহ আল হাসান।

Leave a Comment