১৯৮৯ সালে, তিনি তারিক আনাম খানের উদ্যোগে একটি অডিশনে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে ১৪০০ জন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৫ জনকে নির্বাচিত করা হয় এবং থিয়েটারে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। করিম তাদের মধ্যে একজন।
তিনি থিয়েটার ” নট্টোকেন্দ্র “-তে যোগ দেন এবং একটানা ১৬ বছর সেখানে কাজ করেন। থিয়েটারে এক দশকেরও বেশি সময় পর, করিম ১৯৯৯ সালে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় ফেরদৌস হাসান পরিচালিত একক-পর্বের টিভি নাটক “অতিথি” -র মাধ্যমে এবং এই নাটকটি চ্যানেল আই- এ প্রচারিত হয়েছিল।
তিনি খ্যাতিমান টিভি পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাথেও কাজ করেছেন। নাটকে তার পুরোপুরি যোগদান হয় ২০০৪ সালে। তিনি বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন যার জন্য তিনি প্রচুর সাফল্য পান।
মোশাররফ করিম নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেন রচিত উপন্যাস অবলম্বনে তৌকির আহমেদ নির্মিত “জয়যাত্রা” চলচ্চিত্রে একজন ময়রার চরিত্রে অভিনয় করেন।
পরবর্তীতে তিনি রূপকথার গল্প (২০০৬), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭), থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার (২০০৯), প্রজাপতি (২০১১), টেলিভিশন (২০১৩), জালালের গল্প (২০১৫), এবং অজ্ঞাতনামা (২০১৬), হালদা (২০১৭), কমলা রকেট (২০১৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
কমলা রকেট চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কারের জন্য ঘোষিত হন, কিন্তু এই চলচ্চিত্রে তার চরিত্রটি কৌতুক চরিত্র নয় দাবী করে এই পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।