অরিজিৎ সিং-এর জীবনী | Arijit Singh’s Biography

অরিজিৎ সিং কে ?

অরিজিৎ সিং(Arijit Singh) ভারতের একজন সুপরিচিত প্লেব্যাক গায়ক। ভারত ছাড়াও সারা বিশ্বে তার নাম বিখ্যাত, মানুষ তার গানের জন্য  পাগল। হিন্দি ছাড়াও অরিজিৎ বাংলা, মারাঠি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, অসমীয়া এবং গুজরাটি ভাষায় অনেক গান গেয়েছেন। ২৯ বছর বয়সী অরিজিৎ শীঘ্রই সেই অবস্থানটি অর্জন করেছিলেন, যার জন্য একটি মানুষের অনেক বছর সময় লাগে। এই খ্যাতি পেতে তার বেশি দিন সময় লাগেনি, তিনি ২০১৩ সালে বিখ্যাত গান ‘তুম হি হো(Tum Hi Ho)’ গেয়েছিলেন, যার পরেই ভারতীয়দের হৃদয়ে তার জায়গার পুরোপুরি ভাবে পাকা করে নিয়েছেন। অরিজিৎ সিং এত সহজে খ্যাতি পাননি, এর জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। অরিজিৎ ভারতের একটি মিউজিক্যাল শোতেও অংশ নিয়েছেন, কিন্তু তখন তাকে কেউ চিনত না বা পছন্দ করত না। একজন বিখ্যাত গায়ক হওয়ার আগে, অরিজিৎ দেশের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালকদের সাথে সহকারী সঙ্গীত প্রোগ্রামার হিসাবে কাজ করেছিলেন। এ পর্যন্ত অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন অরিজিৎ। আসুন তার জীবনের অস্পৃশ্য দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

Arijit Singh

  • নাম- অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)
  • জন্ম-২৫ এপ্রিল ১৯৮৭
  • পিতামাতা- কক্কর সিং, অদিতি সিং
  • জন্মস্থান- মুর্শিদাবাদ, ভারত
  • জাতীয়তা- ভারতীয়
  • কর্মজীবন – প্লেব্যাক সিঙ্গার
  • দাম্পত্য সঙ্গী- কোয়েল রায় সিং
  • সন্তান- দুই পুত্র, এক সৎকন্যা
  • প্লেব্যাক- সিঙ্গার
  • বাদ্যযন্ত্রসমুহ- সুর,গিটার,তবলা,পিয়ানো

অরিজিৎ সিং-এর জন্ম, পরিবার:

২৫ এপ্রিল ১৯৮৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ-এ জন্মগ্রহণ করেন। অরিজিৎ সিং-এর বাবা ছিলেন পাঞ্জাবী এবং মা ছিলেন বাঙালী। তার সংগীত শেখা শুরু হয়েছিল তাঁর বাড়ি থেকেই। তার মায়ের কাছেই তিনি প্রথম গান শেখেন তার মা একজন গায়িকা ছিলেন। তার পরিবারের সকলেই ছিলেন সংগীতের সাথে যুক্ত। তার মামা ছিলেন তবলা বাদক। তার ঠাকুমাও ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতে দক্ষ। তাই স্বাভাবিকভাবেই তিনি সংগীতেই আকর্ষিত হয়েছেন। অরিজিৎ রাজা বিজয় সিং উচ্চ বিদ্যালয় এবং শ্রীপত সিং কলেজে তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। অরিজিৎ সিং তার ক্যারিয়ারে অনেক সংগ্রাম করেছেন। অরিজিৎ সিং শৈশবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি সঙ্গীতের ক্ষেত্রেই নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন।

  • নাম: নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী
  • জন্ম: ১৯ মে ১৯৭৪
  • জন্মস্থান: উত্তরপ্রদেশ, ভারত
  • পেশা: অভিনেতা
  • জাতীয়তা: ভারতীয়
  • দাম্পত্য সঙ্গী: অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে
  • সন্তান: ২

অরিজিৎ সিং-এর ব‍্যক্তিগত জীবন:

২০১৪ সালে অরিজিৎ ছোটোবেলার বন্ধু কোয়েল রায়কে বিয়ে করেন। এটা তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। তিনি প্রথমে ফেম গুরকুলের বিজয়ী প্রতিযোগী রূপরেখা ব‍্যানার্জীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি এবং তাঁর দুই পুত্র, এক সৎকন্যা আছে।

অরিজিৎ সিং-এর ক্যারিয়ার:

অরিজিৎ সিং তার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে একের পর এক অনেক ব্যর্থতার সম্মুখীন হন। ‘ফেম গুরুকুল(Fame Gurukul)’ নামের একটি গানের রিয়েলিটি শোতে শীর্ষ ৫-এ পৌঁছানোর আগে তিনি বাদ পড়েছিলেন। তখন অরিজিৎ সিংয়ের বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। কিন্তু তাও এই রিয়েলিটি শোতে অরিজিৎ সঞ্জয় লীলা বনসালি নজর কেড়েছিলেন এবং রণবীর কাপুরের প্রথম ছবি ‘সাওয়ারিয়া(Saawariya)’-তে ‘ইয়ুন শবনমি(Youn Shabnami)’ গানটি গেয়েছিলেন কিন্তু তার কণ্ঠের গানটি কখনই মুক্তি পায়নি।

অরিজিৎ সিং প্রাথমিক জীবন:

২০০৫ সালে, সনি টিভি দ্বারা একটি গানের রিয়েলিটি শো ‘ফেম গুরুকুল‘ আয়োজন করা হয়েছিল। অরিজিৎকে তার গুরু ‘রাজেন্দ্র প্রসাদ হাজারী‘ এই শোতে অংশ নিতে রাজি করেছিলেন। অরিজিতের এই শোতে অংশ নিতে মোটেও ভালো লাগেনি, কিন্তু যখন তিনি জানতে পারলেন যে ‘শঙ্কর মহাদেবন (Shankar Mahadevan)’ এই শোতে জুরি বিচারকের সাথে যোগ দিচ্ছেন, তখন তিনি শোতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ শঙ্করও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাথে যুক্ত ছিলেন। অরিজিৎকে এই শোয়ের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল, এবং তিনিও শীর্ষ ৬-এ পৌঁছেছিলেন, কিন্তু তারপরে জনগণের কম ভোটের কারণে তিনি আউট হয়ে যান। এ সময় অরিজিৎকে অনেকেই চিনতে না পারলেও টিভিতে আসার কারণে তার ফ্যান ফলোয়িং তৈরি হয়।

এরপর অরিজিৎ সনির দ্বিতীয় রিয়েলিটি শো ‘দস কে দশ লে গেয়া দিল(10 Ke 10 Le Gaye Dil)’-এ অংশ নেন। ফেম গুরুকুল এবং ইন্ডিয়ান আইডল শো-এর প্রতিযোগীদের মধ্যে একটি মিউজিক্যাল ফেসঅফ ছিল। অরিজিৎ এই শো এ জিতেছিলেন, যার জন্যে জনগণের মধ্যে তিনি পরিচত হতে থাকেন। এই জয়ের পর অরিজিৎ মিউজিক প্রোগ্রামিং নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের রেকর্ডিং সেটআপ তৈরি করেন। এই সময় শঙ্কর মহাদেবন অরিজিৎকে অনেক সমর্থন করেছিলেন, তিনি প্রযোজকদের বলতেন অরিজিৎকে গান গাওয়াতে, পাশাপাশি বলতেন অরিজিৎ আগামীকালের উজ্জ্বল সংগীতশিল্পী। কিন্তু প্রযোজকরা শঙ্করের কথা শোনেননি, তাদের মনে হয়েছে, নতুন কণ্ঠে সুযোগ দেওয়া বড় ঝুঁকি, এবং তখন তারা জনপ্রিয় কণ্ঠের সঙ্গে কাজ করতে চান।

অরিজিৎ সিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু:

শঙ্কর-এহসান-লয় তার সঙ্গীত অ্যালবাম ‘হাই স্কুল মিউজিক্যাল অ্যালবাম ২‘-এ অরিজিৎকে প্রথম সুযোগ দেন, যেখানে অরিজিৎ ‘অল ফর 1‘ গানটি গেয়েছিলেন। এরপর ২০১০ সালে অরিজিৎ ‘প্রীতম চক্রবর্তী‘র সাথে কাজ শুরু করেন। যেখানে প্রীতম তাকে তিনটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ দেন গোলমাল ৩(Golmaal 3), ক্রুক (Crook) এবং অ্যাকশন রিপ্লে(Action Replay)। ২০১১ সালে, অরিজিৎ তার প্রথম বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন, তিনি মিঠুনের কম্পোজিশনে ‘মার্ডার ২‘-এর ‘ফির মহব্বত কারনে(Phir Mohabbat Karne)’ গানটি গেয়েছিলেন, যা একটি বিশাল সাফল্য লাভ করেছিল। এই গানটি ২০০৯ সালে অরিজিৎ রেকর্ড করেছিলেন, তবে এটি মুক্তি পায় ২০১১ সালে।

২০১২ সালে, অরিজিৎ প্রীতমের কম্পোজিশনে ‘এজেন্ট ভিনোদ(Agent Vinod)’ চলচ্চিত্রের ‘রাবদা(Raabda)’ গানটি গেয়েছিলেন, যার সাফল্য দেখে, প্রীতম এটি অরিজিত্কে দিয়া ৪ টি ভিন্ন ধরণ ভাবে গিয়েছিল এবং প্রকাশ করেছিলেন। একই বছর অরিজিৎ প্রীতমের সঙ্গে প্লেয়ার্স, ককটেলবরফি ছবিতেও কাজ করেন। ২০১২ সালে, অরিজিৎ ‘সাংহাই(Shanghai)’ ছবিতে বিশাল শেখরের জন্য ‘দুয়া(Dua)’ গানটি গেয়েছিলেন। এর জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন অরিজিৎ।

২০১৩ সাল ছিল অরিজিতের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল বছর। এই বছর, অরিজিৎ মিঠুনের কম্পোজিশনে ‘তুম হি হো‘ গানটি গেয়েছিলেন মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘আশিকি ২‘-এর জন্য, যা ছিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হিট। এই রোমান্টিক গানটি শ্রোতাদের অনেক পছন্দ হয়েছিল, যার জন্য আরিজিৎ অনেক পুরস্কার জিতেছিলেন, যার পরে অরিজিৎ একজন বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক হয়ে ওঠেন। এই ছবিতে সঙ্গীত দিয়েছেন ‘জিৎ গাঙ্গুলী‘, এরপর তার সঙ্গে অন্যান্য ছবির গানেও কাজ করেছেন অরিজিৎ। জিৎ এই ছবির জন্য একটি নতুন কণ্ঠ চেয়েছিলেন, তিনি ইউটিউবে অরিজিতের ‘দুয়া‘ গানটি শুনেছিলেন, তারপরে তিনি ‘আশিকি ২‘-এর জন্য অরিজিতকে গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৩ সালে, অরিজিৎ করণ জোহরের চলচ্চিত্র ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি(Yeh Jawaani Hai Deewani)’-তে প্রীতমের সাথে সহযোগিতা করেছিলেন এবং চলচ্চিত্রের প্রায় সমস্ত গান গেয়েছিলেন। এই ছবির ‘বালাম পিচকারি(Balam Pichkari)’ গানের সঙ্গীত প্রযোজকও করা হয়েছিল অরিজিৎকে। অরিজিতের মতে, এই সময়টি তার ক্যারিয়ারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল, এটি তাকে একজন ভাল সঙ্গীতশিল্পী হতে সাহায্য করেছিল। এই বছর তিনি ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো, আর রাজকুমার, চেন্নাই এক্সপ্রেস, বস, জ্যাকপট, গালিও কি রাসলীলা ‘রাম লীলা‘, মিকি ভাইরাসের মতো ছবিতেও কণ্ঠ দিয়েছেন।

তখন সেই সময় ছিল যখন প্রতিটি ছোট-বড় পরিচালকই চাইতেন অরিজিৎ তাঁর ছবিতে একটি গান গাইবেন, কারণ সবাই বিশ্বাস করেছিল, এই একটি গানই তাঁর পুরো ছবিকে হিট করে তুলতে পারে। ২০১৪ এর শুরুতে, অরিজিৎ সাজিদ-ওয়াজিদ এবং এ আর রহমানের মতো বড় সঙ্গীত পরিচালকদের সাথে কাজ করেছিলেন। এর পরে, তিনি অমিত ত্রিবেদী, শরীবতোশি, বিশাল ভরদ্বাজ, শচীন জিগার, টনি কক্কর, পলাশ মুছালের মতো বড় পরিচালকদের সাথেও কাজ করেছেন।

যখন রেকর্ডিং স্টুডিও খোলা হয়:

অরিজিৎ সিং ‘দস কে দশ লে গেয়া দিল‘-এ বিজয়ী হয়েছিলেন এবং শোতে তিনি যে ১০ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছিলেন তা দিয়ে একটি রেকর্ডিং স্টুডিও খোলেন। অরিজিৎ সিংয়ের প্রথম অ্যালবামও ছিল ‘সাওয়ারিয়া‘ ছবির কিন্তু তার অ্যালবাম প্রকাশিত হয়নি।

অরিজিৎ সহজ জীবনযাপন পছন্দ করেন:

অরিজিৎ সিং সহজ জীবনধারা বেশি পছন্দ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি একজন সেলিব্রিটি হতে ঘৃণা করিআমি সংগীতে এসেছি কারণ আমি এটি পছন্দ করেছি, বিখ্যাত হতে চেয়েছিলাম বলে নয়‘। এমনকি তিনি মুম্বাইয়ের থেকেও বেশি নিজের শহরে থাকেন।

অরিজিৎ সিংয়ের সেরা গান:

  • “ফির মোহাব্বাত”
  • রাবতা
  • “দুয়া”
  • “ইয়ারিয়াঁ”
  • “ফির লে আয়া দিল”
  • “সাওয়ালি সি রাত”
  • “উস্কা হি বানা”
  • “খালবালি”
  • “মেরি আশিকি”
  • “হাম মার জায়েঙ্গে”
  • “মিলনে হ্যায় মুঝসে আয়ি”
  • “কাশ্মীর তু ম্যাঁ কন্যাকুমারী”
  • “সুনো না সাংগমারমার”
  • “শানিবার রাতি”
  • “মাস্ত মাগান”
  • “সামঝাওঁ”
  • “খামোশিয়া”
  • “অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল”

এইখানেই শেষ না, আরো অনেক গান গেছেন অরিজিৎ। সেই সব গানের তালিকা তৈরি করতে গেলে হয়তো একটা গোটা দিন লেগে যাবে। তিনি তার এই অফুরন্ত গানের মাধ্যমে গ্রাহকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। অনেকে এমনও ভক্ত রয়েছে যারা শুধু গান ভালোবাসে এমন না তারা অরিজিতের সাধারণ জীবন যাপনের জন্যে তাকে অনেক পছন্দ করে।

অরিজিৎ সিংয়ের অ্যাওয়ার্ড:

অরিজিৎ সিং ১ টি জাতীয় পুরষ্কার, ২ টি ফিল্মফেয়ার বাংলা পুরষ্কার, ৭ টি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার, ৫ টি IIFA Award, ২ টি Guild Award, ৫ টি GIMA Award, ৫ টি জি-সিনে পুরস্কার সহ মোট ৯৮ টি পুরষ্কারে পেয়েছেন । অভিজিৎ সিং এখন অব্দি মোট ৩৩৪ বার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তুমহিহো গানের মাধ্যমে অরিজিৎ সিং পুরষ্কারের তালিকায় হালখাতা করেন এরপর থেকে অনেক পুরস্কারের জন্য মনোনীতও হয়েছেন।

FAQ:

প্রশ্ন: অরিজিৎ সিং কে ?
উত্তর: অরিজিৎ সিং একজন ভারতীয় প্লেব্যাক সিঙ্গার ।

প্রশ্ন: অরিজিৎ সিং এর জন্ম কবে, কোথায় হয় ?
উত্তর: অরিজিৎ সিং ২৫ এপ্রিল ১৯৮৭ সালেমুর্শিদাবাদ , ভারত জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

প্রশ্ন: অরিজিৎ সিং এর স্ত্রীর নাম কী ?
উত্তর: কোয়েল রায় সিং ।

প্রশ্ন: অরিজিৎ সিং কয়টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ?
উত্তর: ৭ টি ।

প্রশ্ন: অরিজিৎ সিং এর পছন্দের একজন সিঙ্গার কে ?
উত্তর: KK

প্রশ্ন: অরিজিৎ সিং কোন মুভি থেকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ?
উত্তর: আশিকি ২ ।

প্রশ্ন: অরিজিৎ সিং কতগুলি জি – সিনে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ?
উত্তর: ৫ টি ।

Leave a Comment